কাঠি দিয়ে প্রেগনেন্সি টেস্ট করার নিয়ম

কাঠি দিয়ে প্রেগনেন্সি টেস্ট করার নিয়ম

আজ আপনাদের সাথে কথা বলবো। কাঠি দিয়ে প্রেগনেন্সি টেস্ট করার নিয়ম নিয়ে।যেমনঃ কাঠি দিয়ে প্রেগনেন্সি টেস্ট করার নিয়ম ? কতদিন পর প্রেগনেন্সি টেস্ট করালে সঠিক ফলাফল পাওয়া যায়?প্রেগনেন্সি টেস্ট কিট এর নাম ও দাম?চিনি দিয়ে গর্ভবতী পরীক্ষা ?প্রেগন্যান্সি টেস্ট করার ঘরোয়া পদ্ধতি ?মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায় ? ইত্যাদি সম্পর্কে বলুন বন্ধুরা আমরা আমাদের মূল আলোচনায় চলে যাই।

অনলাইনে ছেলেদের ও মেয়েদের যাবতীয় পার্সোনাল ও গোপনীয় পণ্যসামগ্রী সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কসমেটিক সামগ্রী দেশের সবচেয়ে কম দামে ক্রয় করতে ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট gazivai.com

gazivai.com
gazivai.com

সাধারণ স্ট্রিপ কাটি টির সাদা অংশ থেকে (মধ্যখান বরাবর) সেই পর্যন্ত ইউরিনের কাপে ডুবিয়ে রাখতে হবে ৮/৯ মিনিট । যদি কাটির দুইটি দাগ আসে তাহলে আপনি বুঝে নিবেন গর্ভবতী হয়েছেন(পজেটিভ) | যদি একটি আসে তাহলে বুঝে নিবেন আপনি গর্ভবতী নন (নেগেটিভ)

অন্তঃসত্ত্বা হলেন কি না, তা ঝটপট ও প্রায় নির্ভুলভাবে জানতে ব্যবহার করা হয় প্রেগন্যান্সি কিট। এই যন্ত্রের ব্যবহারও সহজ। গর্ভধারণ করলে শরীরে বিটা এইচসিজি নামে একটি হরমোন তৈরি হয়; যার উপস্থিতি প্রস্রাবেও নির্ণয় করা যায়। চাইলে নিজেই প্রস্রাব পরীক্ষার মাধ্যমে জেনে নিতে পারেন।

যাঁদের মাসিক নিয়মিত, তাঁরা মাসিক হওয়ার তারিখ পেরিয়ে যাওয়ার অন্তত এক সপ্তাহ পর এই পরীক্ষা করবেন। মাসিক অনিয়মিত হলে গর্ভাবস্থার লক্ষণ বুঝতে পারলে পরীক্ষা করুন।

যেভাবে করবেন
সকালবেলার প্রথম প্রস্রাব দিয়ে পরীক্ষা করলে ভালো। দিনের যেকোনো সময় করলেও চলবে, সে ক্ষেত্রে দীর্ঘ সময় প্রস্রাব ধরে রাখতে হবে। প্রতিটি স্ট্রিপে নির্দেশনা লেখা থাকে। সেই নির্দেশনা মেনে প্রস্রাব দিয়ে পরীক্ষা করতে হবে।

gazivai.com
gazivai.com

রিপোর্ট কীভাবে বুঝবেন?
স্ট্রিপে একটি রঙিন রেখা বা লাইন এলে বুঝবেন প্রেগন্যান্সি নেগেটিভ, অন্তঃসত্ত্বা নন। স্ট্রিপে পাশাপাশি দুটি রঙিন রেখা বা লাইন দেখা গেলে পজিটিভ, এমনকি হালকা রেখা হলেও পজিটিভ ধরা যাবে। মানে তিনি অন্তঃসত্ত্বা

যদি কোনো রঙিন রেখা না দেখা যায়, তবে পরীক্ষা বাতিল বলে ধরে নিতে হবে এবং আবার আরেকটি স্ট্রিপ দিয়ে করতে হবে। আধা ঘণ্টা পর নেগেটিভ ফলাফল পজিটিভ হলেও রিপোর্টটি অগ্রহণযোগ্য।

কতদিন পর প্রেগনেন্সি টেস্ট করালে সঠিক ফলাফল পাওয়া যায়

বেশি তাড়াতাড়ি পরীক্ষা করলে ভুল রিপোর্ট আসার সম্ভাবনা রয়েছে। আপনার পিরিয়ড যদি অনিয়মিত হয় বা প্রতি মাসেই একটু পিছিয়ে পিছিয়ে যায়, তাহলে পিরিয়ডের লাস্ট দিন থেকে ৩৫-৪০ দিন অপেক্ষা করার পর টেস্ট করুন। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর প্রথম ইউরিন দিয়ে এই পরীক্ষা করলে সঠিক রিপোর্ট আসার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।

যদি আমরা ইউরিনের ভালো ফলাফল পেতে চাই, তাহলে মেনুস্ট্রুয়েশনের (মাসিক) ১৫ দিন পর টেস্ট করলেই নিশ্চিত ফলাফল পাওয়া যাবে। এর আগে যদি নেগেটিভও আসে, তাহলে আবারও করতে হবে।

gazivai.com
gazivai.com

এটা যাদের নিয়মিত মাসিক হয়, তাদের জন্য। তবে যাদের অনিয়মিত মাসিক হয়, তাদের ক্ষেত্রে ওবুলেশন বা ফার্টিলাইজেশন ডেট এভাবে হিসাব করা যায় না।

যাদের নিয়মিত মাসিক হয়, তারা মাসিক যেদিন হওয়ার কথা ছিল, সেদিন থেকে ১৫ দিন পর করবেন। এছাড়াও যদি হটাৎ পেট ব্যথা হয় তাহলেও করতে হবে।

1.good news kit

2.HCG

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাতেও প্রেগন্যান্সি টেস্ট করা যেতে পারে। তবে সেই ফলাফল কতটুকু ঠিক বা ভুল, সে বিষয়টি এখনও এখনও স্পষ্ট নয়। কারণ ঘরে কিট ব্যবহারের মাধ্যমে যেভাবে গর্ভবতী কি-না জানা যায়, এজন্য প্রয়োজন হয় প্রস্রাবের একটি বিশেষ উপাদান।

হিউম্যান ক্রনিক গোনাডোট্রপিন বা (এইচসিজি)র উপস্থিতির উপর নির্ভর করেই গর্ভধারণের ফলাফল বের হয়। ওভালুয়েশন শুরু হওয়ার ১০ দিনে শরীরে উত্পাদিত প্ল্যাসেন্টার উপর এই হরমোনের উপস্থিতি নির্ভরশীল। হোম টেস্ট কিটের দ্বারা নির্ধারণ করা সম্ভব, এই স্তরে (এইচসিজি)র পৌঁছালে, তবেই পরীক্ষার সঠিক ফল মেলে।

চিনি দিয়ে গর্ভবতী পরীক্ষা

বহু বছর আগে যখন হোম প্রেগন্যান্সি কিট সহযলভ্য ছিল না, তখন এভাবে বাড়িতেই পরীক্ষা করে দেখা হত, ডাক্তার আসার আগে। পরিষ্কার বাটির মধ্যে সামান্য প্রস্রাব সংগ্রহ করুন এবং তাতে এক টেবিল চামচ চিনি ঢেলে পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করুন। যদি দেখেন চিনি গলে যাচ্ছে না, তাহলে বুঝবেন যে আপনি গর্ভবতী

চিনির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পত্তি হল তার দ্রবণীয়তা। এবং এটি সেই নীতি যার ভিত্তিতে গর্ভাবস্থা পরীক্ষায় এটি কাজে লাগে। কোন মহিলা যখন গর্ভবতী হন, তখন তার প্রস্রাবে হিউম্যান কোরিওনিক গোনাডোট্রপিন হরমোন বা এইচসিজি ভাল পরিমাণে উপস্থিত থাকে। এই জাতীয় প্রস্রাব যখন চিনির সংস্পর্শে আসে, এইচসিজি হরমোন চিনির সাথে প্রতিক্রিয়া জানায়, এটি তাকে প্রস্রাবের তরল পদার্থের সাথে মিশে যাওয়া থেকে বাধা দেয়। সুতরাং, চিনি দ্রবীভূত হতে ব্যর্থ হবে এবং এর পরিবর্তে ডেলা তৈরি করবে। এই টেস্টের জন্য তাজা চিনি ব্যবহার করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়, এবং পুরানো চিনি নয়।

প্রেগন্যান্সি টেস্ট করার ঘরোয়া পদ্ধতি

একটা প্লাস্টিকের বাটিতে প্রশ্রাবের সঙ্গে এক চামচ টুথপেস্ট মেশান। যদি টুথপেস্ট নীল হয়ে যায়, তা হলে বুঝতে হবে আপনি সন্তানসম্ভবা। প্লাস্টিকের কাপে ভিনিগার ও প্রশ্রাব মেশান। যদি বুদবুদ তৈরি হয় আর মিশ্রণের রঙে পরিবর্তন ঘটে, তা হলে বুঝতে হবে আপনি সন্তানসম্ভবা।

ব্লিচ পরীক্ষা

একটা প্লাস্টিকের বাটিতে প্রশ্রাবের সঙ্গে ব্লিচ মেশান। যদি ফেনা হতে শুরু করে, তা হলে বুঝতে হবে আপনি মা হতে চলেছেন।

টুথপেস্ট পরীক্ষা

একটা প্লাস্টিকের বাটিতে প্রশ্রাবের সঙ্গে এক চামচ টুথপেস্ট মেশান। যদি টুথপেস্ট নীল হয়ে যায়, তা হলে বুঝতে হবে আপনি সন্তানসম্ভবা।

ভিনিগার পরীক্ষা

প্লাস্টিকের কাপে ভিনিগার ও প্রশ্রাব মেশান। যদি বুদবুদ তৈরি হয় আর মিশ্রণের রঙে পরিবর্তন ঘটে, তা হলে বুঝতে হবে আপনি সন্তানসম্ভবা।

চিনি

একটা বাটিতে প্রশ্রাবের সঙ্গে দু’-তিন চামচ চিনির দানা মেশান। যদি চিনি গলে না গিয়ে দলা পাকাতে বা জমাট বাঁধতে শুরু করে, তা হলে বুঝতে হবে আপনি সন্তানসম্ভবা

মাসিক মিস হওয়ার কত দিন পর প্রেগন্যান্ট বোঝা যায়

মাসিক মিস হওয়ার কাছাকাছি সময়ে বা এক দুসপ্তাহের মদ্ধে কিছু গর্ভধারণের লক্ষণ দেখা দিতে পারে। গর্ভধারণের ৬ সপ্তাহের মদ্ধেই প্রায় ৬০ ভাগ মহিলার গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ দেখা দেয় এবং ৮ সপ্তাহের মধ্যে প্রায় ৯০ ভাগ মহিলা এসব লক্ষণ অনুভব করতে পারেন।

যদি আমরা ইউরিনের ভালো ফলাফল পেতে চাই, তাহলে মেনুস্ট্রুয়েশনের (মাসিক) ১৫ দিন পর টেস্ট করলেই নিশ্চিত ফলাফল পাওয়া যাবে। এর আগে যদি নেগেটিভও আসে, তাহলে আবারও করতে হবে।

এটা যাদের নিয়মিত মাসিক হয়, তাদের জন্য। তবে যাদের অনিয়মিত মাসিক হয়, তাদের ক্ষেত্রে ওবুলেশন বা ফার্টিলাইজেশন ডেট এভাবে হিসাব করা যায় না।

যাদের নিয়মিত মাসিক হয়, তারা মাসিক যেদিন হওয়ার কথা ছিল, সেদিন থেকে ১৫ দিন পর করবেন। এছাড়াও যদি হটাৎ পেট ব্যথা হয় তাহলেও করতে হবে।