Description
ভিটামিন এ ক্যাপসুল । Vitamin A capsules , উপকারিতা , দাম , পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অনেকেই জানতে চেয়ে থাকেন আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে আমরা ধারাবাহিকভাবে এই তথ্যগুলো জানার চেষ্টা করবো তো চলুন তথ্যগুলো সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক ।
ভিটামিন এ ক্যাপসুল
ভিটামিন এ-এর ঘাটতিজনিত যে সমস্ত রোগ দেখা যায় যেমন-রাতকানা, জেরোফথ্যালমিয়া, ত্বক, চুল এবং নখের নানা ধরনের পরিবর্তনের চিকিৎসায়। এছাড়া মিউকোসা অসুস্থতার আনুসাংগিক চিকিৎসায় যেমন সাইনোসাইটিস, ব্রংকাইটিস, সর্দি, ইকথায়োসিস, ডেরিয়ার্স রোগ, ব্রন, সোরিয়াসিস ইত্যাদির চিকিৎসায়। বৃদ্ধির সময়ে, রোগ প্রতিরোধ ও রাতকানার প্রতিষেধক রূপে ভিটামিন এ-এর চাহিদা পূরণ করতেও এটি নির্দেশিত । এছাড়া ডায়রিয়ার পরবর্তী অবস্থায় ভিটামিন এ-এর ঘাটতি পূরণে এবং হামের প্রতিষেধক রূপে এটি নির্দেশিত।
ভিটামিন এ ক্যাপসুল এর উপকারিতা
দেহ বৃদ্ধি, বিশেষ করে দেহের অস্থি কাঠামোর বৃদ্ধি প্রক্রিয়ার সঙ্গে ভিটামিন ‘এ’-এর সংযোগ রয়েছে। ৬. ভিটামিন ‘এ’ জীবাণু সংক্রমণ থেকে দেহকে রক্ষা করে। শিশুকে অবশ্যই ভরা পেটে এই ক্যাপসুল খাওয়াতে হবে।
ভিটামিন এ ক্যাপসুল এর দাম
মেডিকেল স্টোর থেকেই পেয়ে যাবেন এই ক্যাপসুল। দাম ২০ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে।
ভিটামিন এ ক্যাপসুল এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
ভিটামিন এ: উচ্চমাত্রার ভিটামিন এ সেবন গর্ভবতী নারীদের জন্য বিপজ্জনক। কেননা টক্সিক মাত্রায় ভিটামিন এ অনাগত শিশুর নানা ধরনের জন্মগত ত্রুটির কারণ হতে পারে। এ ছাড়া উচ্চমাত্রার ভিটামিন এ যকৃৎ, হাড় ও ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। দুর্ঘটনাবশত হঠাৎ বেশি ভিটামিন এ খেয়ে ফেললে বমি, মাথাব্যথা, ত্বকের সমস্যা হতে পারে।
ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ার বয়স
সারা দেশে ৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী ও ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুকে একটি করে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হচ্ছে। ৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুকে একটি করে লাল ক্যাপসুল ও ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুকে একটি করে নীল ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
পূর্ণ বয়স্ক: প্রতিদিন ৫০,০০০ আই.ইউ. থেকে ১,০০,০০০ আই.ইউ. প্রয়োজনে ২,০০,০০০ আই.ইউ. দেয়া যেতে পারে।
শিশুদের ক্ষেত্রে (১ বছরের ঊর্ধ্বে):
নাইট ব্লাইন্ডনেস (রাতকানা) বিটটস্ স্পটস্, জেরোফথ্যালমিয়া: ২,০০,০০০ আই.ইউ. ১ম দিন, ২য় দিন, ১৪ তম দিন।
হাম: ২,০০,০০০ আই.ইউ. ১ম দিন, ২য় দিন।
ডায়রিয়া, শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ: ২,০০,০০০ আই.ইউ. প্রতিবার রোগের পরে।
তীব্র অপুষ্টি: ২,০০,০০০ আই.ইউ. একক মাত্রায় অথবা, রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেব্য।
ভিটামিন এ ক্যাপসুল খেলে কি হয়
অতিরিক্ত ভিটামিন এ সেবনে বমি বমি ভাব, মাথাব্যথা, খাদ্যের প্রতি আসক্তি হারানো, শুষ্ক ত্বক, ত্বকে চুলকানি, চুল পড়ে যাওয়া, মায়ালজিয়া, পেপিলিডেমা, লিভার সিরোসিস ইত্যাদি হতে পারে।
ভিটামিন এ ক্যাপসুল ক্যাম্পেইন ২০২৩
সতর্কতা
দীর্ঘদিন চিকিৎসার পর রেটিনল ফোর্ট মুক্ত অন্তর্বর্তী সময় নিশ্চিত করতে হবে। গর্ভকালীন অবস্থায় ৫,০০০ আই.ইউ. এর বেশী মাত্রা দেয়া সংগত নয়। অন্যান্য রোগীদের ক্ষেত্রে কেবল মাত্র চিকিৎসকের পরামর্শেই ৫০,০০০ আই.ইউ. এর বেশী ভিটামিন এ দেয়া যেতে পারে।
