পলিসিস্টিক ওভারি ভালো হলে কি বাচ্চা হবে

পলিসিস্টিক ওভারি ভালো হলে কি বাচ্চা হবে

পলিসিস্টিক ওভারি ভালো হলে কি বাচ্চা হবে এই প্রশ্নের উত্তর জানালে অনেকেই শংকিত থাকেন তো আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে আমরা একটি সংগৃহীত প্রশ্নের উত্তর তুলে ধরছি তো চলুন জেনে নেয়া যাক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে । ৫০০ টাকার কেনাকাটায় ১০,০০০ টাকার মোবাইল জিতুন কিনতে ভিজিট করুন Gazivai.com – গাজী ভাই ডট কম

পলিসিস্টিক ওভারি ভালো হলে কি বাচ্চা হবে

এছাড়া আপনি যদি এ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য কিংবা পরামর্শ জানতে চেয়ে থাকেন তাহলে ও জানতে পারেন কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন আমাদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যটি জেনে নেই ।

পলিসিস্টিক ওভারি ভালো হলে কি বাচ্চা হবে

পিসিও থাকলে ডিম্বাণু নিঃসরণের চক্র এলোমেলো হয়ে যায় বলে সন্তান ধারণে সমস্যা হওয়ার সম্ভবনা খুব বেশি। তাই মা হওয়ার পরিকল্পনা করলে নিয়ম করে ব্যায়াম ও সুষম খাবার খেয়ে ওজন কমান জরুরি বলে মনে করেন বাসুদেব মুখোপাধ্যায়। পিসিও থাকলে মা হওয়ার সময়ে মূলত কী ধরনের সমস্যা হতে পারে, জানালেন তিনি।

১। যাঁরা পলিসিস্টিক ওভারিয়ান ডিজিজ সহ গর্ভধারণ করেছেন, তাঁদের হাই রিস্ক প্রেগনেন্সি গ্রুপে রাখতে হয়। কারণ এই সমস্যা সহ মা হতে গেলে মিসক্যারেজের ঝুঁকি সাধারণ মেয়েদের থেকে প্রায় তিন গুণ বেশি। তাই সতর্ক থাকা দরকার। পিসিওর জন্যে যাঁদের মেটফরমিন নামক ওষুধ খেতে হয়, তাঁদের কিন্তু চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ বন্ধ করা চলবে না। মেটফরমিন ওষুধটি মিসক্যারেজ আটকে দিতে সাহায্য করে। Gazivai.com এ ২ পিস প্যান্টের বেল্ট মেশিন ৫৫০ টাকা কিনতে ক্লিক করুন – এক্ষুনি কিনুন

পলিসিস্টিক ওভারি ভালো হলে কি বাচ্চা হবে

২। প্রথম তিন মাস হবু মাকে সাবধানে চলাফেরা করতে হবে। দরকার হলে বিশ্রামে থাকতে হতে পারে।

৩। পিসিও সহ অন্তঃসত্ত্বা হলে গর্ভবতীদের রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে না থাকলে প্রিএক্লাম্পশিয়া নামক এক জটিল পরিস্থিতি দেখা যেতে পারে, যা হবু মা ও গর্ভস্থ সন্তান দু’জনের জন্যেই যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ।

১। এই মায়দের নিয়মিত চিকিৎসকের তত্ত্ববধানে থেকে সাবধানতা মেনে চলা জরুরি।

২। পিসিও সহ মা হতে গেলে অনেকেরই জেস্টেশনাল ডায়বিটিসের (গর্ভাবস্থায় সাময়িক ডায়বিটিস) ঝুঁকি থাকে। ডায়বিটিস হলে ডায়েটিশিয়ানের নির্দেশ মেনে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া জরুরি।

৩। পিসিও থাকলে ভ্রূণের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যহত হতে পারে। তাই গর্ভাবস্থার শুরুতে সাধারণ ইউএসজি করার পর ২০ সপ্তাহে লেভেল ২ আলট্রাসাউণ্ড বা অ্যানোমালি স্ক্যান করা উচিত, বললেন ফিটাল মেডিসিনের বিশেষজ্ঞ দেবস্মিতা মণ্ডল।

৪। কোনও অসুবিধে দেখা গেলে ফিটাল ইকোকার্ডিওগ্রাফি করে দেখে নিতে হবে হার্টের কোনও গুরুতর সমস্যা আছে কি না।

৫। দেবস্মিতা জানালেন, আগে থেকে গর্ভস্থ শিশুর সমস্যা জানা গেলে প্রসবের সময় নিওনেটালজিস্ট ও নিওনেটাল ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটের ব্যবস্থা করা থাকলে সঠিক চিকিৎসায় ভাল থাকে শিশু। হবু মা ও বাচ্চাকে সুস্থ রাখতে ভাল পরিকাঠামো যুক্ত হাসপাতালের প্রয়োজন। অযথা আতঙ্কিত না হয়ে সঠিক ব্যবস্থা নিলে ভবিষ্যতে অনেক জটিল পরিস্থিতি সামলে দেওয়া যায়।

পলিসিস্টিক ওভারিয়ান ডিজিজ প্রতিরোধ করা মোটেও কঠিন নয়, প্রয়োজন সদিচ্ছা। ওজন স্বাভাবিক রাখতে নিয়ম করে হালকা এক্সারসাইজ ও শ্বাসের ব্যায়াম করতে হবে। টাটকা শাক, সব্জি, ফল খেতে হবে নিয়ম করে। ফাস্ট ফুড ও চিনি খাওয়া মানা। মানসিক চাপ কমিয়ে মন ভাল রাখতে হবে। অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলবেন। তা হলে আকাঙ্খিত সন্তানকে কোলে তুলে নিতে আর কোনও সমস্যা থাকবে না।

পলিসিস্টিক ওভারি ভালো হলে কি বাচ্চা হবে এই সংক্রান্ত যে তথ্যটি আপনি আর্টিকেলে প্রথম অংশ দেখতে পাচ্ছেন এ তথ্যটি আমরা সংগ্রহ করে তুলে ধরেছি সুতরাং এই তথ্যটি সম্পর্কে ।

আপনার যাবতীয় প্রশ্ন কিংবা জিজ্ঞাসা কিংবা মূল্যবান পরামর্শ কিংবা মূল্যবান মন্তব্য অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে লিখে জানিয়ে দিতে পারেন ।

আমরা সব সময় পাঠকের মূল্যবান মন্তব্য গুলোকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে থাকে তাই আপনি আপনার মূল্যবান মন্তব্য দিয়ে আমাদেরকে অবশ্যই সহযোগিতা করতে পারেন ।