একুশের কবিতা
আশরাফ সিদ্দিকী
প্রথম স্তবক
একুশের দিনে আমি জন্মেছিলাম,
বাঙালির ভাষার মাসে।
সেদিন ছিল রক্তের বন্যা,
মাতৃভাষার জন্যে।
দ্বিতীয় স্তবক
আমার বাবা-মায়ের রক্তে,
মাতৃভাষার মহিমা।
তাদের ত্যাগের বিনিময়ে,
আমি পেয়েছি বাংলা ভাষা।
তৃতীয় স্তবক
আমি বাংলা ভাষার সন্তান,
বাঙালি জাতির উত্তরসূরী।
আমি বাংলা ভাষার জন্য,
জীবন দিয়ে দিতে পারি।
চতুর্থ স্তবক
আমি বাংলা ভাষার গান গাইব,
আমি বাংলা ভাষার কথা বলব।
আমি বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষা করব,
আমার জীবনের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত।
পঞ্চম স্তবক
একুশের চেতনা আমার হৃদয়ে,
বাঙালির চেতনার প্রতীক।
আমি সেই চেতনা ধরে রাখব,
বাঙালি জাতির জন্য।
ষষ্ঠ স্তবক
একুশের চেতনা আমার শক্তি,
বাঙালি জাতির আশা।
আমি সেই চেতনা দিয়ে,
বাঙালি জাতির মুক্তি করব।
এই কবিতাটিতে কবি আশরাফ সিদ্দিকী একুশের ভাষা আন্দোলনের কথা তুলে ধরেছেন। তিনি নিজেও একুশের দিনে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাই তার কাছে ভাষা আন্দোলন একটি বিশেষ বিষয়।
স্কুল-কলেজের পাঠ্যপুস্তক দেশি-বিদেশি বিখ্যাত বই কিনতে ক্লিক করুন – এখনি কিনুন
কবিতাটির প্রথম স্তবকে কবি বলেছেন যে তিনি একুশের দিনে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। সেদিন ছিল রক্তের বন্যা, কিন্তু সেই রক্তের বন্যায় বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
দ্বিতীয় স্তবকে কবি বলেছেন যে তার বাবা-মায়ের রক্তে বাংলা ভাষার মহিমা রয়েছে। তাদের ত্যাগের বিনিময়ে তিনি পেয়েছেন বাংলা ভাষা।
তৃতীয় স্তবকে কবি নিজেকে বাংলা ভাষার সন্তান এবং বাঙালি জাতির উত্তরসূরী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। তিনি বাংলা ভাষার জন্য জীবন দিয়ে দিতে প্রস্তুত।
চতুর্থ স্তবকে কবি বলেছেন যে তিনি বাংলা ভাষার গান গাইবেন এবং বাংলা ভাষার কথা বলবেন। তিনি বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষা করবেন।
পঞ্চম স্তবকে কবি বলেছেন যে একুশের চেতনা তার হৃদয়ে রয়েছে। তিনি সেই চেতনা ধরে রাখবেন এবং বাঙালি জাতির মুক্তি করবেন।
ষষ্ঠ স্তবকে কবি বলেছেন যে একুশের চেতনা তার শক্তি এবং বাঙালি জাতির আশা। তিনি সেই চেতনা দিয়ে বাঙালি জাতির মুক্তি করবেন।
এই কবিতাটি একুশের ভাষা আন্দোলনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল। এটি বাঙালি জাতির ভাষাপ্রেম এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতীক।