ভবিষ্যৎ বাণী । শাহ নেয়ামত উল্লাহর ভবিষ্যৎ বাণী

ভবিষ্যৎ বাণী , শাহ নেয়ামত উল্লাহর ভবিষ্যৎ বাণী, আপনি যদি শাহ নেয়ামত উল্লাহর ভবিষ্যৎ বাণী গুলি খুঁজে থাকেন তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন এখানে আপনি ভগবান শাহ নেয়ামত উল্লাহর ভবিষ্যৎ বাণী গুলি জানতে পারবেন| এই মহান বাণী গুলি আপনি কাজে লাগিয়ে আপনার জীবনে সফলতা অর্জন করতে পারবেন তাই চলুন দেখে নেওয়া যাক আপনি কি কি জানতে পারবেন

এছারা আপনি যদি অনলাইনে কেনাকাটা করতে ভালোবাসেন তাহলে ভিজিট করতে পারেন আমাদের ই-কমার্স ওয়েবসাইট আমাদের ই-কমার্স ওয়েবসাইট এর ঠিকানা হচ্ছে। Gazivai.com এ মেয়েদের থ্রি-পিস ৪৫০ টাকা কিনতে ক্লিক করুন – এক্ষুনি কিনুন 

ভবিষ্যৎ বাণী

ভবিষ্যৎ বাণী

আল্লাহ প্রদত্ত ইলহাম এর জ্ঞান দ্বারা আজ থেকে প্রায় সাড়ে আটশত বছর পূর্বে (হিজরী ৫৪৮ সাল মোতাবেক ১১৫২ সালে খ্রিস্টাব্দে) শাহ নেয়ামতুল্লাহ রহঃ তার বিখ্যাত কাব্যগুলো রচনা করেন। আল্লাহর অনেক প্রিয় বান্দাগণ মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে গায়েবের বিষয় সম্পর্কে ইলহাম পেয়ে থাকেন।

মনে রাখতে হবে যে, কোন সৃষ্টি জীবের নিজস্ব কোন ক্ষমতা নেই যে, সে ইচ্ছা করলেই গায়েবের বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে পারে। বরং আল্লাহ যাকে ইচ্ছা তাকে এই জ্ঞান দান করে থাকেন। উপমহাদেশের ইলমী জনক শাহ ওয়ালিউল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলভী রহঃ তার ইলহামী ইলম দিয়ে বিখ্যাত গ্রন্থ সাওয়াতিউল ইলহাম রচনা করেন। অনুরূপ হযরত শাহ নেয়ামতউল্লাহ রহঃ তার ইলহামী জ্ঞানের কিছু অংশ একটি কবিতায় প্রকাশ করেছেন। Gazivai.com এ  ৫০০ টাকা  চুল ও গোপন অঙ্গের পশম কাটার ট্রিমার কিনতে ক্লিক – এখনই কিনুন

ভবিষ্যৎ বাণী

শাহ নেয়ামত উল্লাহর ভবিষ্যৎ বাণী

১)
পশ্চাতে রেখে এই ভারতের অতীত কাহিনী যত
আগামী দিনের সংবাদ কিছু বলে যাই অবিরত
.
ব্যাখ্যাঃ ভারত = ভারতীয় উপমহাদেশ
.
২)
দ্বিতীয় দাওরে হুকুমত হবে তুর্কী মুঘলদের
কিন্তু শাসন হইবে তাদের অবিচার যুলুমের
.
ব্যাখ্যাঃ দ্বিতীয় দাওর = ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলিম শাসনের দ্বিতীয় অধ্যায়। শাহবুদ্দীন মুহম্মাদ ঘোরী রহিমাহুল্লাহ উনার আমল (১১৭৫ সাল) থেকে সুলতান ইব্রাহীম লোদীর শাসনকাল (১৫২৬ সাল) পর্যন্ত প্রথম দাওর। এবং সম্রাট বাবর শাসনকাল (১৫২৬ সাল) থেকে ভারতে মুসলিম দ্বিতীয় দাওর।


৩)
ভোগে ও বিলাসে আমোদে-প্রমোদে মত্ত থাকিবে তারা
হারিয়ে ফেলিবে স্বকীয় মহিমা তুর্কী স্বভাব ধারা
.
ব্যাখ্যাঃ মুঘল শাসকদের অনেকই আল্লাহ ওয়ালা ছিলেন। তবে কেউ কেউ প্রকৃত ইসলামী আইন কানুন ও শরীয়তের আমল থেকে দূরে সরে গিয়েছিলেন।
.
৪)
তাদের হারায়ে ভিন দেশী হবে শাসন দণ্ডধারী
জাকিয়া বসিবে, নিজ নামে তারা মুদ্রা করিবে জারি
.
ব্যাখ্যাঃ ভিন দেশী = ইংরেজদের বোঝানো হয়েছে
.
৫)
এরপর হবে রাশিয়া জাপানে ঘোরতর এক রণ
রুশকে হারিয়ে এ রণে বিজয়ী হইবে জাপানীগণ
.
৬)
শেষে দেশ-সীমা নিবে ঠিক করে মিলিয়া উভয় দল
চুক্তিও হবে কিন্তু তাদের অন্তরে রবে ছল
.
ব্যাখ্যাঃ বিশ শতকের প্রারম্ভে এ যুদ্ধ সংঘটিত হয়। জাপান কোরিয়ার উপর আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে পীত সাগর, পোট অব আর্থার ও ভলডিভস্টকে অবস্থানরত রুশ নৌবহরগুলো আটক করার মধ্য দিয়ে এ যুদ্ধ শুরু হয়। অবশেষে রাশিয়া জাপানের সাথে চুক্তি করতে বাধ্য হয়।
.
৭)
ভারতে তখন দেখা দিবে প্লেগ আকালিক দুর্যোগ
মারা যাবে তাতে বহু মুসলিম হবে মহাদুর্ভোগ
.
ব্যাখ্যাঃ ১৮৯৮-১৯০৮ সাল পর্যন্ত ভারতে মহামারী আকারে প্লেগের প্রাদুর্ভাব ঘটে। এতে প্রায় ৫ লক্ষ লোকের জীবনাবসান হয়। ১৭৭০ সালে ভারতে মহাদূর্ভিক্ষ সৃষ্টি হয়। বংগ প্রদেশে তা ভয়াবহ আকার ধারণ করে। এ থেকে উদ্ভুত মহামারিতে এ প্রদেশের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মানুষ প্রাণ হারায়।
.
৮)
এরপর পরই ভয়াবহ এক ভূকম্পনের ফলে
জাপানের এক তৃতীয় অংশ যাবে হায় রসাতলে
.
ব্যাখ্যাঃ ১৯৪৪ সালে জাপানের টোকিও এবং ইয়াকুহামায় প্রলয়ঙ্করী ভূমিকম্প সংঘটিত হয়।
.
৯)
পশ্চিমে চার সালব্যাপী ঘোরতর মহারণ
প্রতারণা বলে হারাবে এ রণে জীমকে আলিফগণ
.
ব্যাখ্যাঃ ১৯১৪-১৯১৮ সাল পর্যন্ত চার বছরাধিকাল ধরে ইউরোপে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ সংঘটিত হয়। জীম = জার্মানি এবং আলিফ = ইংল্যান্ড।
.
১০)
এ সমর হবে বহু দেশ জুড়ে অতীব ভয়ঙ্কর
নিহত হইবে এতে এক কোটি ত্রিশ লাখ নারী-নর
.
ব্যাখ্যাঃ ব্রিটিশ সরকারের তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রথম মহাযুদ্ধে প্রায় ১ কোটি ৩১ লক্ষ লোক মারা যায়।
.
১১)
অতঃপর হবে রণ বন্ধের চুক্তি উভয় দেশে
কিন্তু তা হবে ক্ষণভঙ্গুর টিকিবে না অবশেষে
.
ব্যাখ্যাঃ ১৯১৯ সালে প্যারিসের ভার্সাই প্রাসাদে প্রথম মহাযুদ্ধের অবসানের লক্ষ্যে “ভার্সাই সন্ধি” হয় কিন্তু তা টিকেনি।
.
১২)
নিরবে চলিবে মহাসমরের প্রস্তুতি বেশুমার
জীম ও আলিফে লড়াই ঘটিবে বারংবার
.
১৩)
চীন ও জাপানে দু’দেশ যখন লিপ্ত থাকিবে রণে
নাসারা তখন রণ প্রস্তুতি চালাবে সঙ্গোপনে
.
ব্যাখ্যাঃ নাসারা মানে খ্রিষ্টান
.
১৪)
প্রথম মহাসমরের শেষে একুশ বছর পর
শুরু হবে ফের আরো ভয়াবহ দ্বিতীয় সমর
.
ব্যাখ্যাঃ ১ম মহাযুদ্ধ সমাপ্তি হয় ১৯১৮ সালের ১১ নভেম্বর এবং দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে সূচনা হয় ১৯৩৯ সালে ৩রা সেপ্টেম্বর। দুই যুদ্ধের মধ্যবর্তী সময় প্রায় ২১ বছর।

আজকের আর্টিকেলটি ছিল ভবিষ্যৎ বাণী সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত উপস্থাপনা করেছে আশা করি আমাদের আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনি ভবিষ্যৎ বাণী সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে ধারণা পেয়েছেন আর্টিকেল পড়ে কেমন লেগেছে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন