১৩৩৩ কবিতা

১৩৩৩ কবিতা । জীবনানন্দ দাশ

১৩৩৩ কবিতা   , আজকের আর্টিকেলটিতে আমরা জানব এই কবিতাটি সম্পর্কে কবিতাটির লেখক কে এবং কবিতাটি সম্পর্কে বিস্তারিত তো চলুন প্রথমেই কবিতাটি সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক ।

এছারা ও আপনি যদি অনলাইনে কেনাকাটা করতে পছন্দ করেন । তাহলে ভিজিট করতে পারেন আমাদের গাজী ভাই ডটকম এর মূল হোম পেজ এবং কিনতে পারেন দেশের সবচাইতে কম দামে যাবতীয় নৃত্য প্রয়োজনে প্রোডাক্ট। Gazivai.com এ ২ পিস চামড়ার বেল্ট মেশিন সহ ৫৫০ টাকা কিনতে ক্লিক করুন – এক্ষুনি কিনুন

১৩৩৩ কবিতা

           –  জীবনানন্দ দাশ

তোমার শরীর ,-

তাই নিয়ে এসেছিলে একবার;- তারপর,- মানুষের ভিড়

রাত্রি আর দিন

তোমারে নিয়েছে ডেকে কোন দিকে জানিনি তা,- হয়েছে মলিন

চক্ষু এই;- ছিঁড়ে গেছি- ফেড়ে গেছি ,- পৃথিবীর পথ হেঁটে হেঁটে

কত দিন রাত্রি গেছে কেটে !

কত দেহ এল,- গেল, – হাত ছুঁয়ে ছুঁয়ে

দিয়েছি ফিরায়ে সব;- সমুদ্রের জলে দেহ ধুয়ে

নক্ষত্রের তলে

ব’সে আছি,- সমুদ্রের জলে

দেহ ধুয়ে নিয়া

তুমি কি আসিবে কাছে প্রিয়া !

তোমার শরীর,-

 তাই নিয়ে এসেছিলে একবার;- তারপর,- মানুষের ভিড়

রাত্রি আর দিন

তোমারে নিয়েছে ডেকে কোন দিকে,-ফ’লে গেছে কতবার, ঝ’রে গেছে তৃণ !

আমারে চাও না তুমি আজ আর,- জানি ;

তোমার শরীর ছানি

মিটায় পিপাসা

কে সে আজ ! – তোমার রক্তের ভালোবাসা

দিয়েছ কাহারে !

কে বা সেই !- আমি এই সমুদ্রের পারে

ব’সে আছি একা আজ ,- ঐ দূর নক্ষত্রের কাছে

আজ আর প্রশ্ন নাই ,- মাঝরাতে ঘুম লেগে আছে

চক্ষে তার ,- এলোমেলো রয়েছে আকাশ !

উচ্ছৃঙ্খল বিশৃঙ্খলা !- তারি তলে পৃথিবীর ঘাস

ফ’লে ওঠে ,- পৃথিবীর তৃণ

ঝ’রে পড়ে ,- পৃথিবীর রাত্রি আর দিন

কেটে যায় !

 উচ্ছৃঙ্খল বিশৃঙ্খলা,- তারি তলে হায় !

জানি আমি – আমি যাব চ’লে

তোমার অনেক আগে;

তারপর ,- সমুদ্র গাহিবে গান বহুদিন,-

আকাশে আকাশে যাবে জ্ব’লে

নক্ষত্র অনেক রাত আরো

নক্ষত্র অনেক রাত আরো !-

( যদিও তোমারো

রাত্রি আর দিন শেষ হবে

একদিন কবে ! )

আমি চ’লে যাব,- তবু,- সমুদ্রের ভাষা

রয়ে যাবে,- তোমার পিপাসা

ফুরাবে না,- পৃথিবীর ধুলো – মাটি – তৃণ

রহিবে তোমার তরে , রাত্রি আর দিন

রয়ে যাবে ;- রয়ে যাবে তোমার শরীর ,

আর এই পৃথিবীর মানুষের ভিড় ।

আমারে খুঁজিয়াছিলে তুমি একদিন,-

কখন হারায়ে যাই – এই ভয়ে নয়ন মলিন

করেছিলে তুমি !-

জানি আমি;- তবু ,এই পৃথিবীর ফসলের ভূমি

আকাশের তারার মতন

ফলিয়া ওঠে না রোজ ; দেহ ঝরে , ঝ’রে যায় মন

তার আগে !

এই বর্তমান ,- তার দু’পায়ের দাগে

মুছে যায় পৃথিবীর’পর

একদিন হয়েছে যা – তার রেখা ,- ধূলার অক্ষর !

আমারে হারায়ে আজ চোখ ম্লান করিবে না তুমি,-

জানি আমি ;- পৃথিবীর ফসলের ভূমি

আকাশের তারার মতন

ফলিয়া ওঠে না রোজ ;-

দেহ ঝরে ,তার আগে আমাদের ঝ’রে যায় মন!

আমার পায়ের তলে ঝ’রে যায় তৃণ ,-

তার আগে এই রাত্রি দিন পড়িতেছে ঝ’রে!

এই রাত্রি,- এই দিন রেখেছিলে ভ’রে

তোমার পায়ের শব্দে ,- শুনেছি তা আমি !

কখন গিয়েছে তবু থামি

সেই শব্দ !- গেছ তুমি চ’লে

সেই দিন-সেই রাত্রি ফুরায়েছে ব’লে!

আমার পায়ের তলে ঝরে নাই তৃণ ,-

তবু সেই রাত্রি আর দিন

প’ড়ে গেল ঝ’রে!-

সেই রাত্রি- সেই দিন- তোমার পায়ের শব্দে রেখেছিলে ভ’রে !

জানি আমি, খুঁজিবে না আজিকে আমারে

তুমি আর ;- নক্ষত্রের পারে

যদি আমি চ’লে যাই,

পৃথিবীর ধুলো মাটি কাঁকরে হারাই

যদি আমি ,-

আমারে খুঁজিতে তবু আসিবে না আজ;

তোমার পায়ের শব্দ গেল কবে থামি

আমার এ নক্ষত্রের তলে ।-

জানি তবু- নদীর জলের মতো পা তোমার চলে;-

তোমার শরীর আজ ঝরে

রাত্রির ঢেউয়ের মতো কোনো এক ঢেউয়ের উপরে !

যদি আজ পৃথিবীর ধুলো মাটি কাঁকরে হারাই

যদি আমি চলে যাই

নক্ষত্রের পারে,-

জানি আমি, তুমি আর আসিবে না খুঁজিতে আমারে !

তুমি যদি রহিতে দাঁড়ায়ে !-

নক্ষত্র সরিয়া যায়,- তবু যদি তোমার দুপায়ে

হারায়ে ফেলিতে পথ-চলার পিপাসা !-

একবার ভালোবেসে – যদি ভালোবাসিতে চাহিতে তুমি সেই ভালবাসা!

আমার এখানে এসে যেতে যদি থামি !-

কিন্তু তুমি চ’লে গেছ, তবু কেন আমি

রয়েছি দাঁড়ায়ে !

নক্ষত্র সরিয়া যায়,-তবু কেন আমার এ পায়ে

হারায়ে ফেলেছি পথ-চলার পিপাসা !

একবার ভালোবেসে কেন আমি ভালোবাসি সেই ভালোবাসা !

চলিতে চাহিয়াছিলে তুমি একদিন

আমার এ-পথে ,- কারণ , তখন তুমি ছিলে বন্ধুহীন ।

জানি আমি,- আমার নিকটে তুমি এসেছিলে তাই ।

তারপর,- কখন খুঁজিয়া পেলে কারে তুমি !- তাই আস নাই

আমার এখানে তুমি আর!

একদিন কত কথা বলেছিলে ,- তবু বলিবার

সেইদিনো ছিল না তো কিছু ;- তবু সেদিন

আমার এ পথে তুমি এসেছিলে ,- বলেছিলে যত কথা,-

কারণ , তখন তুমি ছিলে বন্ধুহীন ;

আমার নিকটে তুমি এসেছিলে তাই ;

তারপর-  কখন খুঁজিয়া পেলে কারে তুমি,- তাই আস নাই!

তোমার দু’চোখ দিয়ে একদিন কতবার চেয়েছ আমারে ।

আলো –অন্ধকারে

তোমার পায়ের শব্দ কতবার শুনিয়াছি আমি !

নিকটে – নিকটে আমি ছিলাম তোমার তবু সেইদিন,-

আজ রাত্রে আসিয়াছি নামি এই দূর সমুদ্রের জলে!

যে-নক্ষত্র দেখ নাই কোনোদিন , দাঁড়ায়েছি আজ তার তলে !

সারাদিন হাঁটিয়াছি আমি পায়ে পায়ে

বালকের মতো এক,- তারপর,- গিয়েছি হারায়ে

সমুদ্রের জলে ,

নক্ষত্রের তলে !

রাত্রে,- অন্দজকারে !

-তোমার পায়ের শব্দ শুনিব না তবু আজ,- জানি আমি,-

আজ তবু আসিবে না খুঁজিতে আমারে !

তোমার শরীর ,-

তাই নিয়ে এসেছিলে একবার;- তারপর,- মানুষের ভিড়

রাত্রি আর দিন

তোমারে নিয়েছে ডেকে কোন দিকে জানিনি তা,- হয়েছে মলিন

চক্ষু এই;- ছিঁড়ে গেছি- ফেড়ে গেছি ,- পৃথিবীর পথ হেঁটে হেঁটে

কত দিন রাত্রি গেছে কেটে !

কত দেহ এল,- গেল, – হাত ছুঁয়ে ছুঁয়ে

দিয়েছি ফিরায়ে সব;- সমুদ্রের জলে দেহ ধুয়ে

নক্ষত্রের তলে

ব’সে আছি,- সমুদ্রের জলে

দেহ ধুয়ে নিয়া

তুমি কি আসিবে কাছে প্রিয়া !

১৩৩৩ কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থের

প্রিয় পাঠক ১৩৩৩ কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থ নেয়া হয়েছে সেই সম্পর্কে আমরা কোন সঠিক তথ্য সংগ্রহ করতে পারিনি তাই আপনাদের এই সঠিক উত্তরটি  দিতে পারতেছি না তবে আপনারা চাইলে এর উত্তরটি গুগল থেকে সংগ্রহ করে নিতে পারেন । স্কুল-কলেজের পাঠ্যপুস্তক দেশি-বিদেশি বিখ্যাত বই কিনতে ক্লিক করুন – এখনি কিনুন

১৩৩৩ কবিতার মূলভাব

১৩৩৩ কবিতাটির কবি জীবনানন্দ দাশ । এ কবিতা টি আমরা ইতিমধ্যে তুলে ধরেছি আশা করি আপনি কবিতাটি দেখে নিতে পারবেন । আরো পড়ুন: ছেলেদের মেয়েদের কন -ডম গুপ্ত –  স্থান মেয়েদের পু -শি  কিনতে – এখনই কিনুন

১৩৩৩ কবিতা লিরিক্স

১৩৩৩ কবিতা লিরিক্স আপনি বিভিন্ন মাধ্যমে পেয়ে যাবেন আশা করি সেখান থেকে দেখে নিতে পারবেন আমাদের আর্টিকেলটিতে আমরা ১৩৩৩ কবিতা ও ১৩৩৩ কবিতার লিরিক্স তুলে ধরেছি । পুরুষের ও মেয়েদের সে- ক্স বৃদ্ধি করার হোমিও ঔষধ কিনতে ক্লিক করুন – এখনি কিনুন 

১৩৩৩ কবিতা আবৃত্তি

আমাদের এই আর্টিকেলটিতে আমরা শুধুমাত্র ১৩৩৩ কবিতাটি তুলে ধরেছি এই কবিতাটির আবৃত্তি আপনি youtube থেকে কিংবা আরো বিভিন্ন মাধ্যম থেকে পেয়ে যাবেন আশা করি সেখান থেকে দেখে নিবেন । ৫০০ টাকার কেনাকাটায় ১০,০০০ টাকার মোবাইল জিতুন কিনতে ভিজিট করুন – Gazivai.com – গাজী ভাই ডট কম

১৩৩৩ কবিতা জীবনানন্দ দাশ

এই কবিতাটি সম্পর্কে আপনার মূল্যবান তথ্য ও পরামর্শ দিয়ে আপনি আমাদেরকে সহযোগিতা করতে পারেন আশা করি মূল্যবান তথ্য ও পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করবেন ।