Description
পাওয়ার চশমার দাম / পাওয়ার চশমা ব্যবহারের নিয়ম
পাওয়ার চশমার দাম এবং পাওয়ার চশমা ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কিত এই আর্টিকেলটিতে আমরা একটি সাদা চশমা তুলে ধরেছি সাদা চশমাটি আপনি ক্রয় করতে পারেন। আর আর্টিকেলটিতে আমরা বিস্তারিতভাবে পাওয়ার চশমার দাম কত পাওয়ার চশমা কিভাবে ব্যবহার করবেন এ সম্পর্কে তথ্য জানবো।
বাংলাদেশের যে কোন প্রান্ত থেকেই আপনি সাদা ছানগেলাছ গুলো কিনতে পারবেন এগুলো আপনি পাইকারি এবং খুচরা দুটি পদ্ধতিতে। আমাদের থেকে কিনতে পারবেন আমাদের চশমা ক্যাটাগরিতে পাইকারি এবং খুচরা দুটি দেয়া রয়েছে আপনি সিলেক্ট করে সরাসরি অর্ডার করুন।
পাওয়ার চশমার দাম
জধানীর বিভিন্ন শপিং সেন্টারগুলো থেকে শুরু করে ফুটপাথ পর্যন্ত প্রায় সবখানেই পাওয়া যায় চশমার ফ্রেম । তবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ি চশমার ফ্রেম আর কাচ বা কনট্যাক্ট লেন্স কিনতে চশমার দোকানগুলোতে যেতে হবে । রাজধানীর বসুন্ধরা শপিং সেন্টার, ধানমণ্ডির সাত মসজিদ রোড, এলিফেন্ট রোড, ফার্মগেইটসহ বিভিন্ন জায়গায় আছে কয়েকটি ভালোমানের চশমার দোকান ।
পাওয়ার চশমা ব্যবহারের নিয়ম
দোকানগুলোতে ব্র্যান্ডের কাচের মধ্যে পাওয়া যাবে ভারতীয় ব্র্যান্ড ক্রিজাল-এর কাচ, বর্তমান মূল্য ৩ হাজার টাকা থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ।
প্লাস্টিক বা সেলুলয়েডের কাচগুলো তিন ধরনের হয় — হোয়াইট লেন্স, হোয়াইট অ্যান্টি রিফ্লেক্ট লেন্স ও অটো গ্লাস । হোয়াইট লেন্সের দাম ২শ’থেকে ৪শ’টাকা । অ্যান্টি রিফ্লেক্টের দাম ৩শ’থেকে ১৫শ’টাকা আর অটোগ্লাসের দাম ১ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা ।
.
তবে পাওয়ারের উপর ভিত্তি করে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে কাচের পেছনে, জানালেন সাত মসজিদ রোডে অবস্থিত জুয়েল অপটিকসের ম্যানেজার সুদাম দাস ।
.ধানমণ্ডির ৯/ এ-তে আই কিং দোকানে ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ নুর হোসেন বলেন, “ চশমার সঠিক পাওয়ারের পাশাপাশি ভালো মানের পছন্দসই একটি ফ্রেমও প্রয়োজন । তবে নামীদামী ব্র্যান্ডের বেশিরভাগ ফ্রেমের দাম আকাশছোঁয়া । এমনকি কিছু ব্র্যান্ডের রেপ্লিকা ফ্রেমগুলোর দামও অনেকসময় সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে যায় ।”
.
চাহিদা কম থাকায় বেশিরভাগ দোকানেই ব্র্যান্ডের ফ্রেম কমই রাখা হয় ।
ধানমণ্ডির অপর একটি দোকান অপটিকাল বাজারের ম্যানেজার তুহিন আহমেদ বলেন, “ চশমার ফ্রেমের মধ্যে কর্ডলেস ফ্রেমগুলোর চাহিদা সবচাইতে বেশি ।
”
.
আরো পড়ুনঃ কালো ও হলদে দাত ফর্সা করার ঔষধ কিনতে – এখনই কিনুন
ব্র্যান্ডের কর্ডলেস ফ্রেমের মধ্যে কার্ডিয়ার ফ্রেমগুলোর দাম ৮০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা । গুচি পাওয়া যাবে ১৫ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকায় । রোডেনস্টক পাওয়া যাচ্ছে ৮ হাজার টাকা থেকে ২০ হাজার টাকায় । ক্যরেরা পাবেন ৩ হাজার টাকা থেকে ১৮ হাজার টাকায় ।
পাওয়ার চশমার ফ্রেম
ফুলফ্রেমের মধ্যে রে-ব্যান পাওয়া যাচ্ছে ৫ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকায় । ৩ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকায় পাওয়া যাবে প্রাডা’র ফ্রেমগুলো । পলিস বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার থেকে ৭ হাজার টাকার মধ্যে । ২ হাজার টাকা থেকে ১০ হাজার টাকায় পাওয়া যায় কার্টিয়ের-এর ফ্রেম । ডিওর পাওয়া যাচ্ছে ২ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকায় ।
টেকসই কম হওয়ার কারণে রিমলেস ফ্রেমগুলোর চাহিদা কিছুটা কম । রে-ব্যান, গুচি এবং ডি অ্যান্ড জি-এর রিমলেস ফ্রেমগুলো পাওয়া যাচ্ছে ৫ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকার মধ্যে । এছাড়া ক্যালভিন ক্লাইন আছে ২ হাজার থেকে ৭ হাজার টাকায় । একই বাজেটে পাবেন এম্পোরিও আরমানি’র ফ্রেমগুলোও ।
.নানান ব্র্যান্ডের ফ্রেমের সমারহ থাকলেও নন-ব্র্যান্ডের ফ্রেমের প্রতিই ক্রেতাদের আগ্রহ বেশি । একটু দেখেশুনে কিনতে পারলে ব্র্যান্ডের চশমাগুলোর আদলে তৈরি নন-ব্র্যান্ড ফ্রেমগুলোও দেখতে দারুণ ফ্যাশনেবল । এছাড়াও নন-ব্র্যান্ডের ফ্রেমের মধ্যে ডিজাইনের বৈচিত্র্যও পাওয়া যায় বেশি ।
চশমার পাওয়ার গ্লাসের দাম
২শ’টাকা থেকে শুরু করে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত এই ফ্রেমগুলোর দাম । তবে মানসম্মত ফ্রেম চাইলে কমপক্ষে ২ হাজার টাকা থেকে ৩ হাজার টাকা খরচ করার পরামর্শ দিলেন বিক্রেতারা ।
জুয়েল অপটিকসের সুদাম দাসের মতে, “ এই ফ্রেমগুলো টেকসই এবং রং দীর্ঘস্থায়ী ।”
.
চশমা পরতে না চাইলে ব্যবহার করতে পারেন কনট্যাক্ট লেন্স । ব্র্যান্ডের কনট্যাক্ট লেন্স বাংলাদেশে খুব একটা পাওয়া যায় না বলেই জানালেন আই কিং-এর নুর হোসেন । তবে চায়না ব্র্যান্ড‘ফ্রেশ লুক’-এর লেন্সগুলোর গুণগত মান ভালো এবং বেশ জনপ্রিয় ।
ফ্রেশ লুকের পুরোপুরি সচ্ছ পাওয়ার লেন্সগুলোর দাম ৮শ’থেকে ১ হাজার টাকা । আর রঙিন পাওয়ার লেন্সগুলোর দাম ১ হাজার ২শ’টাকা থেকে ১ হাজার ৫শ’টাকা ।
পাওয়ার ছাড়া লেন্সের দাম ৬শ’থেকে ৮শ’টাকা । আর ড্রপারের দাম ২শ’টাকা ।
চশমা নেওয়ার আগে ডাক্তারের কাছে চোখ পরীক্ষা করিয়ে চোখের পাওয়ার নিশ্চিত হয়ে নেওয়া জরুরি । কারণ উল্টোপাল্টা পাওয়ারের চশমা ব্যবহার করলে চোখের সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে ।