ইঞ্জিন কাকে বলে সহজ কথায় বললে, ইঞ্জিন হলো এমন একটি যন্ত্র যা কোনো এক ধরনের শক্তিকে যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তর করে। এই যান্ত্রিক শক্তি ব্যবহার করেই গাড়ি, ট্রেন, জাহাজ, বিমান ইত্যাদি চলে।
50% ছাড়ে: ছেলেদের মেয়েদের লি- ঙ্গ ২ ইঞ্চি মোটা বড় করার কন -ডম কিনতে ক্লিক করুন – এখনই কিনুন
50% ছাড়ে: ম্যাজিক ক-নড-ম বাংলাদেশি কন-ডম মেয়েদের কন-ডম দেখতে কিনতে ক্লিক করুন – এক্ষুনি কিনুন
ইঞ্জিন কাকে বলে
ইঞ্জিন হলো একটি সয়ংক্রিয় যন্ত্র যা জ্বালানি বা ফুয়েল দহন এর মাধ্যমে রাসায়নিক শক্তিকে প্রথমে তাপশক্তিতে এবং তাপশক্তিকে যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তর করে।
আরও বিস্তারিতভাবে বললে:
- শক্তির রূপান্তর: ইঞ্জিন বিভিন্ন ধরনের শক্তিকে যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তর করতে পারে। যেমন:
- তাপ শক্তি: পেট্রোল বা ডিজেল ইঞ্জিনে জ্বালানি পুড়িয়ে তাপ উৎপন্ন হয়, এই তাপ শক্তিকে যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তর করা হয়।
- রাসায়নিক শক্তি: ব্যাটারি থেকে পাওয়া রাসায়নিক শক্তিকে ইলেকট্রিক মোটরের মাধ্যমে যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তর করা হয়।
- কাজের ধরন: ইঞ্জিন দিয়ে বিভিন্ন ধরনের কাজ করা যায়। যেমন:
- গতি সৃষ্টি: গাড়ি, ট্রেন চালানো।
- বস্তু উত্তোলন: ক্রেন, লিফট চালানো।
- পানি পাম্প করা: কৃষি কাজে ব্যবহৃত পাম্প।
- ইঞ্জিনের ধরন: ইঞ্জিন বিভিন্ন ধরনের হয়, যেমন:
- অন্তর্দহন ইঞ্জিন: পেট্রোল, ডিজেল ইঞ্জিন।
- বহির্দহন ইঞ্জিন: বাষ্প ইঞ্জিন।
- ইলেকট্রিক মোটর: বিদ্যুৎ চালিত যন্ত্র।
ইঞ্জিনের গুরুত্ব:
ইঞ্জিন আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি ছাড়া আমরা আধুনিক জীবন যাপন করতে পারতাম না। ইঞ্জিনের কারণেই আমরা দ্রুত এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে পারি, বিভিন্ন যন্ত্রপাতি চালাতে পারি এবং শিল্প উৎপাদন বাড়াতে পারি।
আপনি কি আরও কোনো বিষয়ে জানতে চান? যেমন, বিভিন্ন ধরনের ইঞ্জিনের বিস্তারিত, ইঞ্জিন কীভাবে কাজ করে, ইঞ্জিনের ইতিহাস ইত্যাদি।
ইঞ্জিন কত প্রকার ও কী কী
ইঞ্জিনের প্রকারভেদ: একটি বিস্তারিত আলোচনা
ইঞ্জিন, বিভিন্ন ধরনের যানবাহন ও যন্ত্রপাতিকে চালানোর জন্য শক্তি সরবরাহ করে। এগুলিকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা যায়। আসুন বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে ইঞ্জিনের প্রকারভেদ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক:
জ্বালানী অনুযায়ী ইঞ্জিন:
- পেট্রোল ইঞ্জিন: সবচেয়ে সাধারণ ধরনের ইঞ্জিন। পেট্রোল এবং বাতাসের মিশ্রণকে সিলিন্ডারে পুড়িয়ে শক্তি উৎপন্ন করে।
- ডিজেল ইঞ্জিন: ডিজেল ইঞ্জিনে বাতাসকে সিলিন্ডারে সংকুচিত করে উচ্চ তাপমাত্রা সৃষ্টি করা হয়। এরপর ডিজেলকে স্প্রে করে দেওয়া হয়, যা স্বয়ংপ্রণোদিতভাবে জ্বলে উঠে।
- গ্যাস ইঞ্জিন: প্রাকৃতিক গ্যাসকে জ্বালানী হিসেবে ব্যবহার করে। পরিবেশবান্ধব এবং কম শব্দ করে।
স্ট্রোকের সংখ্যা অনুযায়ী ইঞ্জিন:
- টু স্ট্রোক ইঞ্জিন: প্রতি দুইবার পিস্টনের চলাচলে একটি করে পাওয়ার স্ট্রোক সম্পন্ন হয়। সাধারণত মোটরসাইকেল, স্কুটার ইত্যাদিতে ব্যবহৃত হয়।
- ফোর স্ট্রোক ইঞ্জিন: প্রতি চারবার পিস্টনের চলাচলে একটি করে পাওয়ার স্ট্রোক সম্পন্ন হয়। অটোমোবাইল, ট্রাক ইত্যাদিতে ব্যবহৃত হয়।
শীতলীকরণ পদ্ধতি অনুযায়ী ইঞ্জিন:
- এয়ার কুলেড ইঞ্জিন: ইঞ্জিনকে বাতাসের সাহায্যে ঠাণ্ডা করা হয়। সাধারণত ছোট ইঞ্জিনে ব্যবহৃত হয়।
- লিকুইড কুলেড ইঞ্জিন: ইঞ্জিনকে তরল (সাধারণত জল) দিয়ে ঠাণ্ডা করা হয়। বড় ইঞ্জিনে ব্যবহৃত হয়।
অন্যান্য ধরনের ইঞ্জিন:
- স্টারলিং ইঞ্জিন: তাপকে যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তর করে।
- রকেট ইঞ্জিন: রকেটকে চালানোর জন্য ব্যবহৃত হয়।
- ইলেকট্রিক মোটর: বিদ্যুৎ শক্তিকে যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তর করে।
ইঞ্জিনের বিভিন্ন অংশ:
- ক্র্যাঙ্কশ্যাফ্ট: পিস্টনের রৈখিক গতিকে ঘূর্ণন গতিতে রূপান্তর করে।
- কানেকটিং রড: পিস্টনকে ক্র্যাঙ্কশ্যাফ্টের সাথে সংযুক্ত করে।
- সিলিন্ডার: জ্বালানী দহনের ঘর।
- পিস্টন: সিলিন্ডারের ভিতরে উপর-নীচ করে চলে।
- ভালভ: সিলিন্ডারে বাতাস ও জ্বালানীর প্রবেশ এবং নির্গমন নিয়ন্ত্রণ করে।
- কামশ্যাফ্ট: ভালভগুলিকে খোলা ও বন্ধ করে।
কোন ধরনের ইঞ্জিন কোন কাজে ব্যবহৃত হয়?
- অটোমোবাইল: সাধারণত পেট্রোল বা ডিজেল ইঞ্জিন ব্যবহৃত হয়।
- বিমান: জেট ইঞ্জিন বা টার্বোফ্যান ইঞ্জিন ব্যবহৃত হয়।
- জাহাজ: ডিজেল ইঞ্জিন বা স্টিম ইঞ্জিন ব্যবহৃত হয়।
- বিদ্যুৎ উৎপাদন: স্টিম টারবাইন বা গ্যাস টারবাইন ব্যবহৃত হয়।
ইঞ্জিনের ভবিষ্যৎ:
- ইলেকট্রিক বা হাইব্রিড ইঞ্জিন: পরিবেশ দূষণ কমাতে ইলেকট্রিক বা হাইব্রিড ইঞ্জিনের ব্যবহার বাড়ছে।
- হাইড্রোজেন ইঞ্জিন: ভবিষ্যতে হাইড্রোজেনকে জ্বালানী হিসেবে ব্যবহার করা হতে পারে।
উপসংহার:
ইঞ্জিনের ধরন এবং ব্যবহার ক্রমশ বদলাচ্ছে। প্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে আরো উন্নত এবং পরিবেশবান্ধব ইঞ্জিন তৈরি হচ্ছে।
আপনি কি কোন নির্দিষ্ট ধরনের ইঞ্জিন সম্পর্কে আরো জানতে চান?