সামুদ্রিক মাছ সংরক্ষণে কোন প্রিজারভেটিভ ব্যবহার করা হয় , আমাদের এই আর্টিকেলটিতে আমরা ধারাবাহিকভাবে জানার চেষ্টা করব তো চলুন জেনে নেয়া যাক সামুদ্রিক মাছ সংরক্ষণে কোন প্রিজারভেটিভ ব্যবহার করা হয় সম্পর্কে ।
আর্টিকেলটিতে আমরা সামুদ্রিক মাছ সংরক্ষণে কোন প্রিজারভেটিভ ব্যবহার করা হয় এই সম্পর্কে জানব তবে আপনি যদি অনলাইনে কেনাকাটা করতে ভালোবাসেন পছন্দ করেন দেশের সবচেয়ে সাশ্রয়দামী কেনাকাটা করতে ভিজিট করুন । Gazivai.com এ ২ পিস চামড়ার বেল্ট মেশিন সহ ৫৫০ টাকা কিনতে ক্লিক করুন – এক্ষুনি কিনুন
![সামুদ্রিক মাছ সংরক্ষণে কোন প্রিজারভেটিভ ব্যবহার করা হয়](https://gazivai.com/wp-content/uploads/2023/04/সামুদ্রিক-মাছ-সংরক্ষণে-কোন-প্রিজারভেটিভ-ব্যবহার-করা-হয়.jpg)
সামুদ্রিক মাছ সংরক্ষণে কোন প্রিজারভেটিভ ব্যবহার করা হয়
মাছ পচনশীল বলে খুব দক্ষতার সাথে সংরক্ষণ করতে হয়। সচেতনতার অভাবে অনেক মাছ প্রতি বছর পচে যায়। এজন্য স্বাস্থ্যসম্মতভাবে অর্থাৎ নিরাপদভাবে মাছ সংরক্ষণ করা প্রয়োজন। ফরমালিন ও রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে মাছ সংরক্ষণ উচিত নয়। ফরমালিনযুক্ত মাছ স্বাস্থ্যসম্মত নয়। স্বাস্থ্যসম্মতভাবে অর্থাৎ নিরাপদভাবে মাছ সংরক্ষণ পদ্ধতি নিচে বর্ণনা করা হলো-
১. শুকিয়ে মাছ সংরক্ষণ বা শুঁটকীকরণ
মাছের দেহ থেকে অতিরিক্ত পানি বের করে দিয়ে মাছ শুকিয়ে সংরক্ষণ করা যায়। এ প্রক্রিয়ায় ৮০-৮৫ শতাংশ পানি মাছের দেহ থেকে অপসারণ করা হয়। শুকনো মাছে জীবাণু সংক্রমণ ও বংশ বৃদ্ধি করতে পারে না। রোদ, সোলার ড্রায়ার ও ওভেনে মাছ শুকানো হয়। শুঁটকি মাছ কয়েক বছর সংরক্ষণ থাকে। সব ধরনের মাছ শুঁটকি করা যায়। ৫০০ টাকার কেনাকাটায় ১০,০০০ টাকার মোবাইল জিতুন কিনতে ভিজিট করুন Gazivai.com – গাজী ভাই ডট কম
![সামুদ্রিক মাছ সংরক্ষণে কোন প্রিজারভেটিভ ব্যবহার করা হয়](https://gazivai.com/wp-content/uploads/2023/04/সামুদ্রিক-মাছ-সংরক্ষণে-কোন-প্রিজারভেটিভ-ব্যবহার-করা-হয়-1.jpg)
পদ্ধতি : ছোট মাছ যেমন- পুঁটি, মলা, চান্দা, চেলা, ঢেলা, কাচকি ইত্যাদি শুঁটকি করা সহজ। প্রথমে মাছগুলোর মধ্যে ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করা। মাছগুলো পানিতে ধুয়ে পেটে আঙুল দিয়ে টিপে নাড়িভুঁড়ি বের করতে হয়। এরপর আবার পানিতে ধুয়ে ১০ শতাংশ লবণ পানিতে ১৫-২০ মিনিট রাখা হয় যাতে জীবাণু আক্রমণ না করে। মাছগুলো রোদে চাটাই বা টিনের ওপর ছড়িয়ে দিতে হবে।
২. লবণজাতকরণ
লবণ জীবাণুনাশক ও জীবাণু প্রতিরোধের কাজ করে। শুষ্ক লবণায়ন পদ্ধতিতে- প্রথমে মাছের আঁইশ ও পাখনা দেহ থেকে সরানো হয়। এরপর পেট কেটে নাড়িভুঁড়ি বের করে পানিতে ধুতে হয়। তারপর মাছটির পিঠের দিক থেকে বুক পর্যন্ত আড়াআড়িভাবে কয়েকটি টুকরায় ভাগ করতে হয়। কিন্তু টুকরাগুলো পেটের দিকে কাটা যাবে না সংযোজন থাকবে। কাটা মাছের দেহের বাইরে ও ভেতরে হাত দিয়ে কয়েকবার ঘসে ভালোভাবে লবণ মাখিয়ে দিতে হয়।
আঙুল দিয়ে চেপে চোখ ও ফুলকার ভেতরে লবণ ঢুকিয়ে দিতে হবে। শতকরা ২৫ ভাগ লবণ দিয়ে মাছ লবণজাত করা হয়। লবণ মিশ্রিত মাছগুলো বাঁশের ঝুড়ি বা কাঠের পাটাতনের ওপর স্তরে স্তরে সাজিয়ে রাখতে হয়। প্রতি স্তরে হালকা লবণের ছিটা দিতে হয়। এরপর মাছগুলো মাদুর বা গোলপাতার চাটাই দিয়ে ঢেকে ১০-১৫ দিন রাখতে হয়। একে রাইপেনিং বলে। পানি ঝরে গেলে লবণজাত মাছগুলো টিনের কৌটায় রেখে গুদামজাত করা হয়। সাধারণত ইলিশ মাছ লবণজাত করে সংরক্ষণ করা হয়।
পাঠক ইতিমধ্যে আমরা সংক্ষিপ্ত আকারে সামুদ্রিক মাছ সংরক্ষণে কোন প্রিজারভেটিভ ব্যবহার করা হয় এ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেছি যা ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত তথ্যগুলো সম্পর্কে আপনার যাবতীয় প্রশ্ন বা জিজ্ঞাসা করলে আপনি আমাদেরকে লিখে জানাতে পারেন ।