বাংলাদেশের জাতীয় ফল কাঁঠাল কেন

বাংলাদেশের জাতীয় ফল কাঁঠাল কেন

বাংলাদেশের জাতীয় ফল কাঁঠাল কেন, আমাদের দেশের পতাকার রঙ সবুজ আর লাল। অর্থাৎ, সবুজ মাঠের প্রকৃতির ভেতরে প্রভাতের লাল সূর্যের বৃত্ত। এর মিল পাওয়া যায় তরমুজের সাথে। যার বাহিরের দিকে সবুজ আর ভেতরে লাল।

কিন্তু, এতো মিল থাকতেও, তরমুজ বাংলাদেশের জাতীয় ফল না হয়ে, কাঁঠাল হলো কেন , এই প্রশ্নটি আমাদের সবার মনে জাগে, তাই আজকের পোস্টে আমি আপনাদের জানিয়ে দেব বাংলাদেশের জাতীয় ফল কাঁঠাল কেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত তো চলুন জেনে নেয়া যাক। Gazivai.com এ গোপন অঙ্গের পশম কাটার ট্রিমার ৫০০ টাকা কিনতে ক্লিক – এখনই কিনুন

বাংলাদেশের জাতীয় ফল কাঁঠাল কেন

বাংলাদেশের জাতীয় ফল কাঁঠাল কেন

কাঁঠাল একটি গুচ্ছ ফল। যা’ বহুর (বাংগালীর) মাঝে একতা প্রকাশ করে। কোষগুলো রসাল ও মিষ্টি। যা’ বাঙালির রসবোধের আবেগ ও মিষ্টি ব্যবহার প্রকাশ করে। বোঁটার নিচ থেকে শেষ পর্যন্ত বিস্তৃত দন্ডটি বেশ শক্ত। যা’ আমাদের মেরুদণ্ডের দৃঢ়তা তথা সাবাস টাইগার চরিত্রের আস্থা প্রকাশ করে। বহিরাবরনে যে কাঁটা গুলো আছে; তা’ দেশের সুরক্ষার নিদর্শন।

বাহিরের আক্রমন থেকে নিজেকে রক্ষার কৌশল। বোঁটাটি কাঁঠালকে শক্ত করে গাছে আঁকড়ে রাখে। যা’ আমাদের প্রশাসনকে বুঝায়। কাঁঠাল একটি বড়ো বৃক্ষে ঝুলতে থাকে; যার মর্মার্থ হলো, বিশ্বে বাঙালি জাতি তার শক্তি ও স্বকীয়তায় টিকে থাকবে। তাই,তরমুজ বা অন্য কোন ফল নয়; কাঁঠালই আমাদের জাতীয় ফল। Gazivai.com এ ব্রান্ডের ঘড়ি মাত্র ৯০০ টাকা কিনতে ক্লিক করুন – এখনই কিনুন 

বাংলাদেশের জাতীয় ফল কাঁঠাল কেন

বাংলাদেশের জাতীয় ফল কাঁঠাল কে বলা হয় কেন

কাঁঠালকে গরিবের পুষ্টি বলা হয়। কারণ এত সস্তায় এত পুষ্টি উপাদান আর কোন ফলে পাওয়া যায় না। কাঁঠাল খনিজ পদার্থ, ভিটামিন, শর্করার ইত্যাদির মত নিত্য নৈমিত্তিক প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদানের উৎস হিসেবে কাজ করে।

পুস্টিবিদদের মতে প্রতি ১০০ গ্রাম কাঁঠালে কাঁচা অবস্থায় ৯.৪ গ্রাম এবং পাকা অবস্থায় ১৮.৯ গ্রাম শর্করা, কাঁচা অবস্থায় ২.৬ গ্রাম এবং পাকা অবস্থায় ২.০ গ্রাম আমিষ, কাঁচা ও পাকা উভয় অবস্থায় ১.১ গ্রাম খনিজ লবন এবং যথেষ্ট পরিমান ভিটামিন পাওয়া যায়। কাঁঠালের এসব পুষ্টি উপাদান আমাদের শরীরের গঠন শক্তি উৎপাদন এবং বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

বাংলাদেশের জাতীয় ফল কাঁঠাল কেন

কাঁঠাল কে বাংলাদেশের জাতীয় ফল বলা হয় কেন

কাঁঠালের কোষ খাওয়ার পর যে খোসা বা রিন্ড থাকে তা গবাদি পশুর উত্তম খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কাঁঠালের খোসা ও রিন্ডে যথেষ্ট পরিমাণে পেকটিন আছে। এই পেকটিন সহজে সংগ্রহ করে জেলি বা জ্যাম তৈরিতে ব্যবাহার করা যেতে পারে।

কাঁঠাল গাছের মূল্যবান কাঠ দিয়ে আসবাবপত্র তৈরি করা হয়।

কাঁঠাল গাছের পাতা ছাগলের প্রীয় খাবার।

সর্বোপরি বলা যায় কাঁঠালই একমাত্র ফল যা কাঁচা-পাকা সর্ব অবস্থায়ই সব অংশ ব্যবহৃত হয়।

আজকের আর্টিকেলটি ছিল বাংলাদেশের জাতীয় ফল কাঁঠাল কেন এই সম্পর্কে আমরা বিস্তৃতভাবে আলোচনা করেছি উপরের অংশ আশা করি আমাদের আলোচনা থেকে আপনি বুঝতেই পেরেছেন বাংলাদেশের জাতীয় ফল কাঁঠাল কেন তো আমাদের আর্টিকেলটি পড়ে কেমন লেগেছে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন