রোজার নিয়ত করা কি ফরজ, অনেকেই জানতে চান যে রোজার নিয়ত করা কি ফরজ? নাকি ওয়াজিব বা সুন্নাহ। একজন মুসলিম হিসেবে এই বিষয়টি জেনে রাখা অত্যন্ত গুরুত্যপূর্ন। কেননা মহান আল্লাহ তাআলা আমাদের জন্য রমজানের রোজা ফরজ করেছেন। তাই এই বেপারে সঠিক জ্ঞান থাকাটা আমাদের জন্য আবশ্যকীয়।
এছাড়াও আপনি যদি অনলাইনে কেনাকাটা করতে ভালোবাসেন তাহলে ভিজিট করতে পারেন আমাদের ই-কমার্স ওয়েবসাইট আমাদের ই-কমার্স ওয়েবসাইট এর ঠিকানা হচ্ছে।Gazivai.com এ ব্রান্ডের ঘড়ি মাত্র ৯০০ টাকা কিনতে ক্লিক করুন – এখনই কিনুন

রোজার নিয়ত করা কি ফরজ
রোজার নিয়ত করা কি ফরজ। এর উত্তর হলো রোজা রাখার পূর্বে রোজার নিয়ত করা ফরজ। কেউ যদি রোজা রাখার জন্য রোজার নিয়ত না করে রোজা পালন করে তাহলে তার রোযা শুদ্ধ বা সঠিক হবে না।
আল্লাহ তাআলা বান্দার প্রতিটি আমলের সওয়াব নিয়তের উপর নির্ভর করে প্রদান করে থাকে প্রতিটি কাজের জন্য নিয়ত সহি এবং সুন্দর হতে হয়।
নিয়ত রোজার রোকন তথা শর্ত। আর ইবাদতের সওয়াবও নিয়তের ওপর নির্ভরশীল। হাদিস শরিফে আছে, ‘সকল আমল নিয়তের ওপর নির্ভরশীল। ’ -সহিহ বোখারি । Gazivai.com এ বোরকা হিজাব মাত্র ৪৯৯ টাকা কিনতে ক্লিক করুন – এক্ষুনি কিনুন

সাহরীর খাবার পর রোজার নিয়ত করা কি ফরজ
হ্যাঁ, সাহরীর খাবার পর রোজার নিয়ত করা ফরজ। সাহরীর খাবার পর এভাবেও রোজার নিয়ত করা যেতে পারে-
– بِصَوْمِ غَدٍا نَوَيْتُ مِنْ شَهْرِ رَمَضَان
উচ্চারণ : বিসাওমি গাদিন নাওয়াইতু মিন শাহরি রামাদান।
অর্থ : আমি রমজান মাসের আগামীকালের রোজা রাখার নিয়ত করছি।
নিয়ত আরবি শব্দ। এর বাংলা অর্থ ইচ্ছা করা, মনস্থ করা বা সঙ্কল্প করা। নিয়ত শব্দটি বাংলা ভাষায়ও ব্যাপকভাবে প্রচলিত। হরহামেশাই আমরা বলি- এই নিয়ত করেছি বা ওই বিষয়ে আমার নিয়ত একদম পাক্কা।
পরিভাষায় কোনো আমল-ইবাদত বা কোনো কাজ সম্পাদন করার ইচ্ছা বা সঙ্কল্পকেই নিয়ত বলা হয়। ইসলামী শরিয়তে নিয়তের গুরুত্ব অপরিসীম। কোনো ব্যক্তির আমল আল্লাহ মহানের কাছে ততক্ষণ পর্যন্ত গ্রহণীয় হয় না, যতক্ষণ পর্যন্ত তার নিয়ত সঠিক হয় না। Gazivai.com এ – মেয়েদের ব্রা ৫০ টাকা থেকে শুরু ব্রা প্যান্টি কিনতে ক্লিক করুন – এখনইব্রাকিনুন

রাসূল (সা.) বলেছেন, প্রত্যেক ব্যক্তির আমল নিয়তের ওপর নির্ভরশীল। প্রত্যেক ব্যক্তি তা-ই পাবে যা সে নিয়ত করবে। (বুখারি) রমজানের রোজা রাখার জন্য নিয়ত করা ফরজ। নিয়ত না করলে রোজা শুদ্ধ হবে না। এ ছাড়া ইবাদতের সওয়াবও নিয়তের ওপর নির্ভরশীল।
সুতরাং পবিত্র রমজানের রোজা রাখার ক্ষেত্রে নিয়ত একটি অতিগুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রশ্ন হলো- রোজা রাখার জন্য অন্তরে অন্তরে সঙ্কল্প করলেই কি নিয়ত হবে, নাকি মুখে আরবি বা অন্য কোনো ভাষার বাক্য উচ্চারণ করে নিয়ত করতে হবে?
এ ব্যাপারে মোটামুটিভাবে সব ফিকাহবিদ ও ইসলামী স্কলার একমত, রমজানের রোজা পালনের ক্ষেত্রে মুখে উচ্চারণ করে আরবি বা অন্য কোনো ভাষায় নিয়তবাক্য পাঠ করতে হবে না। মনে মনে বা অন্তরে ইচ্ছা পোষণ করা বা সঙ্ককল্প লালন করাই নিয়ত হিসেবে পরিগণিত হবে।
এ বিষয়ে আল্লামা ইবনুল কাইয়ুম (রহ.) বলেছেন, নিয়ত হচ্ছে কোনো কিছুর ইচ্ছা বা সঙ্কল্প। নিয়তের স্থান হচ্ছে অন্তর; জবান বা মুখের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। রাত বাকি থাকতে থাকতেই ফরজ রোজার নিয়ত করা উত্তম।