শবে বরাত নামাজের নিয়ত । শবে বরাতের ফজিলত

শবে বরাত নামাজের নিয়ত

আসছে 18 ই মার্চ বাংলাদেশে পালিত হবে শবে বরাত। তাই যারা শবে বরাত কে সামনে রেখে শবে বরাতের নামাজের নিয়ত বাংলা ও আরবি জানতে চান। তাদের জন্য আজকের এই পোস্টে উল্লেখ করা হয়েছে শবে বরাতের নামাজের নিয়ত। আমরা সবাই জানি নামাজের পূর্বে মুসলমানদের নিয়ত করতে হয়। কিন্তু অনেকেই আছে যারা বছরের একটি দিন শবেবরাত হিসেবে শবে বরাতের নিয়ত ভুলে যায়। পরবর্তীতে সবাই গুগলে অনুসন্ধান করে শবে বরাতের নামাজের নিয়ত বাংলা লিখে।

আজকের এই পোস্টে আমরা পরিপূর্ণভাবে তুলে ধরেছি কোন নিয়ত এর মাধ্যমে শবে বরাতের নামাজ শুরু করবেন। বাংলাদেশ চাঁদ দেখা কমিটি ঘোষণা করেছে 2023 সালের শবে বরাত অনুষ্ঠিত হবে ১৮ মার্চ রোজ শুক্রবার দিবাগত রাতে। অন্যদিকে বাংলাদেশের সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে ১৯ মার্চ। তাই বাংলাদেশের শবে বরাতের ছুটি হিসেবে হাজার ১৯ মার্চ কে নির্ধারণ করা হয়েছে। আজকের পোস্ট থেকে শবে বরাতের নামাজের নিয়ত বাংলা ও আরবি জেনে নিন।Gazivai.com এ বোরকা হিজাব মাত্র ৪৯৯ টাকা কিনতে ক্লিক করুন – এক্ষুনি কিনুন

শবে বরাত নামাজের নিয়ত

শবে বরাত নামাজের নিয়ত

আমরা অনেকেই আছে যারা কুরআন পড়তে পারি না ও আরবি নিয়ত করতে সমস্যা হয়। তাদের জন্য সহজভাবে শবে বরাতের নামাজের বাংলা নিয়ত রয়েছে। নিয়ত মানে মনে মনে কিছু বলা। আপনি যে শবে বরাতের নামাজ পড়তেছেন এর ওপরে নিয়ত করায় মূল উদ্দেশ্য এখানে শবে বরাতের নামাজের বাংলা নিয়ত তুলে ধরা হয়েছে।

বাংলা নিয়তঃ শবে বরাতের দুই রাকাত নফল নামাজ/ সালাত কিবলামুখী হয়ে পড়ছি, আল্লাহু আকবর

শবে বরাতের নামাজের নিয়ত আরবি

অনেকে আছেন যারা শবে বরাতের নামাজের নিয়ত আরবি জানার জন্য গুগলে সার্চ করে থাকেন। তাদের জন্য আজকের এই পোস্ট টা তুলে ধরা হয়েছে শবে বরাতের নামাজের আরবি নিয়ত সম্পূর্ণ। তাই নিচে থেকে দেখে নিন শবে বরাতের নামাজের সম্পূর্ণ নিয়ত।

আরবি নিয়তঃ নাওয়াইতুআন্ উছল্লিয়া লিল্লা-হি তাআ-লা- রাকআতাই ছালা-তি লাইলাতিল বারা-তিন্ -নাফলি, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা-জিহাতিল্ কাবাতিশ্ শারীফাতি আল্লা-হু আকবার। Gazivai.com এ ফর্সা হওয়ার ক্রিম ও বডি লোশন কিনতে ক্লিক করুন – এক্ষুনি কিনুন 

শবে বরাত নামাজের নিয়ত

শবে বরাতের নামাজ এবং নিয়ম কানুন

প্রকৃত অর্থে শবে বরাতের নামাজ বলে আলাদা কিছু নেই, যেহেতু এই রাতটি ইবাদত বন্দেগী করে কাটাতে হবে তাই হাদিসেই এই সমাধান দেয়া হয়েছে। আর বিশ্ব মুসলিম এই বিশেষ কিছু ইবাদত পালন করে থাকেন। হাদিসের আলোকে আমী সেগুলোর কথাই নিম্নে উল্লেখ করছি:

সন্ধ্যায়:
এই রাতে মাগরিব নামাজের পর হায়াতের বরকত, ঈমানের হেফাযত এবং অন্যের মুখাপেক্ষী না হওয়ার জন্য দু রকাত করে মোট ৬ রকাত নফল নামায পড়া উত্তম।

এই ৬ রাকাত নফল নামাজের নিয়ম:
প্রতি রকাতে সূরা ফাতিহা এরপর যে কোন একটি সূরা পড়তে হবে। দু রকাত নামায শেষে করে সূরা ইয়াছিন বা সূরা ইফলাছ শরীফ ২১ বার তিলায়াত করতে হবে।

শবে বরাতের নফল নামাজ:
১। দুই রকাত তহিয়াতুল অযুর নামায।
নিয়মঃ প্রতি রকাতে আল হামদুলিল্লাহ ( সূরা ফাতিহা) পড়ার পর , ১ বার আয়াতুল কুরসী এবং তিন বার ক্বুলহু আল্লাহ শরীফ ( সূরা এখলাছ) । ফযীলতঃ প্রতি ফোটা পানির বদলে সাতশত নেকী লিখা হবে।

২। দুই রকাত নফল নামায।
নিয়মঃ ১নং নামাযের মত, প্রতি রকাতে সূরা ফাতিহা পড়ার পর, ১ বার আয়াতুল কুরসী এবং ১৫ বার করে সূরা এখলাছ শরীফ, অতপর সালাম ফিরানোর পর ১২ বার দুরূদ শরীফ। ফযীলতঃ রুজিতে রবকত, দুঃখ-কষ্ট হতে মুক্তি লাভ করবে, গুনাহ হতে মাগফিরাতের বখসিস পাওয়া যাবে।

৩। ৮ রকাত নফল নামায , দু রকাত করে পড়তে হবে।
নিয়মঃ প্রতি রকাতে সূরা ফাতিহার পর , সূরা এখলাছ ৫ বার করে। একই নিয়মে বাকি সব। ফযীলতঃ গুনাহ থেকে পাক হবে , দু’আ কবুল হবে এবং বেশী বেশী নেকী পাওয়া যাবে।

৪। ১২ রকাত নফল নামায , দু রকাত করে।
নিয়মঃ প্রতি রকাতে সূরা ফাতিহার পর, ১০ বার সূরা এখলাছ এবং এই নিয়মে বাকি নামায শেষ করে , ১০ বার কলমা তওহীদ, ১০ বার কলমা তামজীদ এবং ১০ বার দুরূদ শরীফ।

৫। ১৪ রকাত নফল নামায, দু রকাত করে।
নিয়মঃপ্রতি রকাত সূরা ফাতিহার পর যে কোন একটি সূরা পড়ুন। ফযীলতঃ যে কোন দু’আ চাইলে তা কবুল হবে।

৬। চার রকাত নফল নামায, ১ সালামে পড়তে হবে।
নিয়মঃ প্রতি রকাতে সূরা ফাতিহা পর ৫০ বার সূরা এখলাছ শরীফ। ফযীলতঃ গুনাহ থেকে এমনভাবে পাক হবে যে সদ্য মায়ের গর্ভ হতে ভুমিষ্ঠ হয়েছে।

৭। ৮ রকাত নফল নামায, ১ সালামে।
নিয়মঃ প্রতি রকাতে সূরা ফাতিহার পর ১১ বার সূরা এখলাছ শরীফ।

শবে বরাতের ফজিলত

এর ফজিলতে সর্ম্পকে বর্ণিত আছে যে, হযরতে সৈয়্যদাতুনা ফাতেমা রাদিআল্লাহু আনহুমা এরশাদ করেছেন, “ আমি ঐ নামাজ আদায় কারীর সাফা’য়াত করা ব্যাতিত জান্নাতে কদম রাখবো না। রোযার ফযীলত হুজুর সালল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন, যে শাবানে ১ দিন রোযা রেখেছে, তাকে আমার সাফা’য়াত হবে। আরো একটি হাদীস শরীফে আছে যে, হুজুর সালল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন, যে ব্যাক্তি শাবানের ১৫ তারিখে রোযা রাখবে, তাকে জাহান্নামের আগুন ছোঁবে না। এছাড়াও পড়তে পারেন ‘সালাতুল তাসবীহ এর নামাজ। এই নামাজের অনেক অনেক ফযীলত রয়েছে।

রাসূলুল্লাহ সালল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্বীয় চাচা হযরত আব্বাস রাদিআল্লাহু আনহুকে এই নামায শিক্ষা দিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন যে, এই নামায পড়লে আল্লাহ আয-যাওযাল আপনার আউয়াল আখেরের সগীরা কবীরা জানা অজানা সকল গুনাহ মাফ করে দিবেন।